Khirshapat – খিরসাপাত – 1kg
100.00৳
Khirshapat / হিমসাগর 1kg.
Description
খিরসাপাত আম
খিরসাপাত/খিরশাপাত/ক্ষিরশাপাত/ক্ষীরশাপাত আম, উন্নতজাতের আমের মধ্যে অন্যতম। জুন মাসের শুরু থেকেই এই আম পাকতে শুরু করে। আমটি আকারে গোলাকার আকৃতিতে মাঝারি। আমটি লম্বায় প্রায় ৮ সে.মি., প্রস্থে প্রায় ৭ সে.মি. ওজনে প্রায় ২৬৪ গ্রাম মতো হয়। খিরসাপাত আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত। ত্বক মসৃণ, পাকলে বাইরের ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে। আমের মধ্যাংশ থেকে নিম্নাংশ হালকা সবুজ। এর খাবার উপযোগী অংশ শতকরা ৬৭ দশমিক ২ ভাগ। আঁশবিহীন আমটির শাঁস হলুদাভ। ফলটি সুগন্ধযুক্ত, রসালো ও অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য জনপ্রিয়তার দিক থেকে এ আমের স্থান শীর্ষে।
ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য
চাঁপাইনবাবগঞ্জের “খিরসাপাত” আম বাংলাদেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমটি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। শুরুটা প্রায় ২০০ বছর আগে। ময়মনসিংহের মহারাজা সুতাংশু কুমার আচার্য্য বাহাদুর চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গড়ে তোলেন একটি আমবাগান। সেই বাগানেই অন্যান্য উৎকৃষ্ট জাতের আমের সঙ্গে চাষ হতো খিরসাপাত আম। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সুস্বাদু এই জাতটি। বর্তমানে বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের ৩০ শতাংশই খিরসাপাত আম।
সময় ও স্থান
জুন মাসের ৭ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত খিরসাপাত আমের আসল সময়। গাছ থেকে সংগ্রহের পর আমটি ছয় থেকে আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। খিরসাপাত আমের ফলন খুব ভালো। চাহিদা থাকায় আমটি অত্যন্ত বাণিজ্যসফল ও । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বত্র, বিশেষ করে শিবগঞ্জ উপজেলায় সর্বাধিক খিরসাপাত আম বেশি হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে প্রতিবছর ৩৫ হাজার টন খিরসাপাত আম উৎপদন হয়। এখানকার বাগানে উৎপাদিত খিরসাপাত গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যতীত রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, বগুড়া ও নওগাঁঁ অঞ্চলে খিরসাপাত আমের আবাদ হয়ে থাকে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর পরেই খিরসাপাত উৎপাদনে রাজশাহীর স্থান অগ্রগণ্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাটি কৃষি পরিবেশিক অঞ্চল ১১ এর উঁচু গঙ্গা নদী প্লাবন ভূমির অন্তর্ভুক্ত। ভালোমানের খিরসাপাত আম উৎপাদনকারী এলাকার জন্য মাটির পিএইচ ৬.৫-৭.৫ প্রয়োজন, যা উক্ত এলাকায় রয়েছে। এছাড়াও এই অঞ্চলের আবহাওয়া আমের গুণগতমানকে প্রভাবিত করে। সাধারণত দেখা যায়, আমগাছে মুকুল আসার সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক ও ঠাণ্ডা এবং আমের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতার সময়ে শুষ্ক ও গরম (২৮-৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) থাকে ফলে আমের ফলন ও মান উভয়েই ভালো হয়। আমের মুকুল আসার সময় বা মুকুল বের হওয়ার পর বৃষ্টিপাত হলে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে এবং আমের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতার সময়ে বেশি বৃষ্টি হলে আমের গুণগতমান খারাপ হয়। এদেশের অন্য জেলাগুলোতে আম উৎপাদন হলেও মাটি ও আবহাওয়ার বিশেষ পার্থক্যের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অধিক পরিমাণে খিরসাপাত আম উৎপাদন সম্ভব।[২]
খিরসাপাত আমের বৈশিষ্ট্য
আমের আকার অনেকটা ডিম্বাকৃতির।
লম্বায় ৮.৭ সেন্টিমিটার,
পাশে ৭.১ সেন্টিমিটার
উচ্চতায় ৬.৬ সেন্টিমিটার
গড় ওজন ২৬৫ গ্রাম
ত্বকের রঙ সবুজাভ হলুদ ও মসৃণ
শাঁস গাঢ় হলুদ, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু, রসালো, আঁশবিহীন ও মিষ্টি।
কোথায় পাওয়া যায় ?
Tongi Groceri তে organic Khirsha / খিরসাপাত আম পাওয়া যায়।