Description

ছাগীর মাংসের কার্যকারীতা

যাদের রক্তে কোলেস্টরেল বেশি এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ ঝুঁকি আছে তাদের জন্য মাংস রান্নার পূর্বে মাংস  থেকে চর্বি  আলাদা করার দরকার হয়না। কারন চর্বি র পরিমান  একেবারেই কম থাকে ।ফলে হৃদরোগের ঝুকি কম থাকে।

গরুর, মহিষের মাংসের থেকে ছাগীর মাংসে একটু আলাদা ঘ্রাণ থাকে এবং আলাদা স্বাদ পাওয়া যায়। গরুর মাংসের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ছাগীর মাংস। ছাগীর মাংসে ক্যালরি, চর্বি ও কোলেস্টেরল মাত্রা খুবই কম তাই খাসির মাংস খেলে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। অতএব, আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী ছাগীর মাংস খেতে পারেন।

ছাগীর মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। আর উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অহেতুক শরীরে ক্লান্তি ভাব ও শক্তি যোগান দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

গরু, মহিষের মাংস অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্যতা দেখা দেয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে পায়খানা হয় না। কিন্তু ছাগীর মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্যতা হয় না বরং পেটের শক্ত বর্জ বের করে দেয়।

প্রতি ১০০ গ্রাম ছাগীর মাংস থেকে ১২২ ক্যালরি, ২৩ গ্রাম প্রোটিন ও ১.৫ গ্রাম চর্বি পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রার লৌহ, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে।।

আমাদের  ছাগীর মাংসের বৈশিষ্ট্য:

– আমাদের ছাগী গুলো  নিজস্ব খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারে লালন পালন করা হয়।

– দুই বার বাচ্চা দেওয়ার পরই ছাগী জবাই দেওয়া হয়।

– কোন ধরনের ফিড, ইউরিয়া, স্টেরয়েড খাওয়ানো হয় না।

– এই ছাগীর মাংস সকল ধরনের কেমিক্যাল, স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক রেসিডিউমুক্ত নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু।

– হালালভাবে জবাই করে কোন ধরনের খোঁচাখুচি না করে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ছাগীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

– ওজনে সঠিক, মাংসে কোন ধরনের পানি মেশানো হয় না।

– মাংস, চর্বি ও হাড়ের সুষম অনুপাত।