Chinigura – চিনিগুড়া – 1kg
140.00৳
Chinigura Chal
Description
চিনিগুড়া চাল
চিনিগুড়া চাল (Chinigura Rice) বাংলাদেশে উৎপাদিত চালের মধ্যে অন্যতম। এই চালটি চমৎকার সুগন্ধের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। চিনিগুড়ার মতো দেখতে হওয়ার কারণে এর এর নাম “চিনিগুড়া চাল” হয়েছে।
ব্রি৩৪ ধান থেকে উৎপাদিত এই চাল মানে ও গুনে অতুলনীয়। বিশেষ বৈশিষ্টের জন্য আমাদের এই সুগন্ধি চাল একটু আলাদা। গ্রামের মানুষেরা যেভাবে ধান রোদে শুকিয়ে মিলে ভাঙ্গায় ঠিক সেভাবে এই ধান চাতালে শুকিয়ে হাসকিং মেশিনে ভাঙ্গানোর পর কুলা দিয়ে পরিস্কার করে প্যাকিং করা হয়। যেহেতু এই ধান হাসকিং মিলে ভাঙ্গানো হয় সেহেতু এর আবরণ কোন প্রকার নষ্ট হয় না। প্রাকৃতিকভাবে এই চালে সুগন্ধি থাকে তাই এই চালে কোন প্রকার কৃত্রিম ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় না। চাল সাদা করতে কোন প্রকার কালার ব্যবহার করা হয় না। রান্না করার পর রান্না ঘরের আশেপাশে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল দিয়ে বিরয়ানী, পোলাও, ফিরনী, পায়েশ, খিচুড়ি রান্না করা যায় অনায়াসে। এই চাল থেকে প্রস্তুতকৃত আটা বা গুড়া দিয়ে খুব সহজে মজাদার পিঠা তৈরী করা যায়।
সুগন্ধি চালের উপকারিতা:
স্বাদে ও গন্ধে সেরা হলো সুগন্ধি চাল। সুগন্ধি চালে রয়েছে শর্করা, আমিষ, অল্প পরিমাণে চর্বি, ভিটামিন, আঁশ এবং খনিজ। এসব উপাদান শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সুগন্ধি চালে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর হরমোনের ক্ষরণ যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
এতে রয়েছে থিয়ামাইন এবং নায়াসিনের মতো ভিটামিন, যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে স্নায়ু সিস্টেম এবং হৃদ্যন্ত্রকেও ভালো রাখে।
ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের পেটের রোগ সারাতে সুগন্ধি, বিশেষ করে বাসমতী চাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যত বেশি আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাবেন, তত কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর সুগন্ধি চালে তো প্রচুর মাত্রায় আঁশ রয়েছে। প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে ফাইবার খেলে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়।
সুগন্ধি চালে কোলেস্টেরল কম থাকে। চর্বি থাকে একেবারে অল্প পরিমাণে। গ্লুটিনও থাকে না। তাই এই চাল সব দিক থেকে হৃদ্যন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সেসব খাবারই খাওয়া উচিত, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করবে না। আর সুগন্ধি চালের গ্লাইকেমিক ইনডেক্স সাধারণ চালের থেকে অনেক কম। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা সুগন্ধি চাল খেতে পারেন। তাতে তাঁদের কোনো ধরনের শারীরিক ক্ষতি হবে না।
সুগন্ধি চালে আঁশ একদিকে যেমন হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, অন্যদিকে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির প্রবেশ আটকে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বাড়ার পরিবর্তে কমতে শুরু করে। তাই যাঁরা নতুন বছরে ওজন কমানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর, তাঁরা সুগন্ধি চাল খেতে পারেন।
সুগন্ধি চাল খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভার থাকে। তাই আপনি যদি চান আপনার খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, তাহলে অবশ্যই খাওয়া শুরু করতে পারেন এই চাল।
শরীরকে চাঙা রাখতে সুগন্ধি চাল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই চাল দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে শরীরের কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে প্রতিটি কোষ চাঙা হয়ে ওঠে। ফলে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দূর করে ক্লান্তি।
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।
সুগন্ধি চাল পেটের সমস্যা সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সুগন্ধি চাল খেলে উপকার পাবেন।
আমাদের চিনিগুড়া চাল কেন সেরা?
- শতভাগ ভেজালমুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
- ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না।
- কৃত্রিম এ্যারোমা বা সুগন্ধিমুক্ত
- কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হয়।
- নিখুঁত স্বাদের জন্য গুণমান নিশ্চিত করা হয়।
– এই চালের উৎপাদন খুবই কম এবং আবাদে খরচ বেশি। ফলে তুলনামূলক অন্যান্য চালের চেয়ে দাম বেশি।
Tongi Groceri তে organic চিনিগুড়া চাল পাওয়া যায়।