Lal Chal – আউশ চাউল – 1kg
100.00৳
Lal Chal – আউশ চাউল -1kg
Description
লাল চাল আউশ
মাছে ভাতে বাঙ্গালী। ভাত ছাড়া বাঙালির চলেই না। সারা দিনে যত যা-ই খান না কেন, ভাত না খেলে যেন মনে হয়, কিছুই খাননি। অনেকেই বলেন, ভাত যদি খেতেই হয়, তবে লাল চাল খান। লাল চাল কি সাদা চালের চেয়ে ভালো? কেন ভালো? কেন খাব লাল চাল? চলুন জেনে নিই।
লাল চাল আউশঃ-
লাল চাল আউশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এক ধরনের ধান থেকে তৈরি হয়, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্য খুবই উপকারী। এটি সাধারণত কম প্রক্রিয়াজাত (কম পালিশ করা) হওয়ায় এর খাদ্যমান অনেক বেশি থাকে। বিশেষতঃ আমাদের দেশে শীতকালে আমন ধান উৎপাদিত হয় । এই চালের ভাত মাঝারি মোটা ও সুস্বাদু হয়। এই চালের উপরিভাগের হাফ ফাইবার (ব্রান) অটুক থাকে। ভাত রান্না করতে সময় একটু বেশী লাগে। লাল চাল আউশ এ রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ।
লাল চাল আউশ উপকারিতা:
১. উচ্চ ফাইবার (আঁশ) সমৃদ্ধ: হজমশক্তি বাড়ায়।কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না।ইনসুলিন
সেন্সিটিভিটি উন্নত করতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: বেশি সময় পেট ভরাট রাখে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
৪. আয়রন ও খনিজে সমৃদ্ধ: রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক। হাড় ও স্নায়ুর সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
৫. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: শরীরের কোষ ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
লাল চাল আউশ বৈশিষ্টঃ-
১। চাল চাল আউশ দেখতে অনেকটা লাল বা বাদামী রংয়ের বলে বাংলায় একে লাল চাল বলা হয়। এই চালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার পাওয়া যায় এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। যা ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য অনেক জটিল রোগের জন্য খুবই উপকারী।
২। এছাড়া এই চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, ক্যালশিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক, আয়রন, ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৬ পাওয়া যায়। তাই এই চাল একদম নিরাপদ ও পুষ্টিকর।
৩। লাল চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ৫৫ আর সাদা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০। তাই লাল চাল ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে ও নিয়ন্ত্রণে রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এনথ্রোসায়ানিন শরীরে প্রদাহ কমায়, এলার্জি কমায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪। লাল চালে প্রাপ্ত ম্যাংগানিজ বিপাকীয় কাজে সাহায্য করে।ম্যাগনেশিয়াম মাইগ্রেন নামক মাথাব্যথা কমায়, রক্তচাপ কমায়, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। লাল প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধ করে।
৫। ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম একত্রে স্বাস্থ্যকর হাড়, স্বাস্থ্যকর দাঁত, গিরা ব্যথা ও ফোলা এবং হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে। সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করে।
৬। আয়রন লোহিত রক্ত কণিকার হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লাগে যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। জিংক ও ম্যাংগানিজ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে ও ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
৭। ভিটামিন বি৬ ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, সেরোটোনিন ও নরইপিনেফরিন হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে যা আমাদের মুড নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি২ খাবার ভেঙে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
৮। তাইতো Tongi groceri / টঙ্গী গ্রোসারি “ লাল চাল আউশ” আপনাদের জন্য নিয়মিত সরবরাহ করে আসছে। আমাদের চালগুলো সংগ্রহ করা হয় উপরোল্লিখিত জেলাগুলোর কৃষকের কাছ থেকে। প্রথমে ধান সংগ্রহ করে তা নিজস্ব তত্বাবধানে কুলা দিয়ে – কুঁড়া আলাদা করা করা হয়।
হাফ ফাইবার লাল চাল, মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর।
সাদা চাল বনাম লাল চাল এর পার্থ্ক্য :
লাল চালে ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রভৃতি খনিজ পদার্থ বেশি মাত্রায় থাকে। শরীরের জন্য এগুলো খুব দরকার। সাদা চাল তৈরির প্রক্রিয়ায় চালের এসব উপাদান অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। আঁশও কমে যায়। এসব বিবেচনায় লাল চাল নিঃসন্দেহে সাদা চালের চেয়ে ভালো।
লাল চালে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরের প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা ও সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে খুব সুস্বাদু নয়। কিন্তু রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য লাল চাল ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী।
লাল চালে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। উপাদান দুটি একসঙ্গে হাড় ও দাঁত ভালো রাখে। হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ম্যাগনেশিয়াম মাইগ্রেন কমায়, রক্তচাপ কমায় ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
লাল চাল দিয়ে ২টি পুষ্টিকর রেসিপি:
১. লাল চালের পায়েস (খেজুর গুড় দিয়ে)
উপকরণ:
লাল চাল – ১/২ কাপ
দুধ – ১ লিটার
খেজুর গুড় – ১/২ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)
এলাচ – ২টি
ঘি – ১ চা চামচ
বাদাম-কিশমিশ – পরিবেশনের জন্য
প্রণালী:
চাল ধুয়ে ৩০-৪৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন।
চাল দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
খেজুর গুড় দিয়ে নেড়ে দিন, আরও ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।
ঘি ও এলাচ দিন, নামিয়ে পরিবেশন করুন বাদাম-কিশমিশ দিয়ে।
ডায়াবেটিকদের জন্য গুড়ের পরিমাণ কমিয়ে নেয়া যেতে পারে।
২. লাল চালের সবজি খিচুড়ি (ডায়াবেটিক ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক)
উপকরণ:
লাল চাল – ১ কাপ
মুগ ডাল – ১/২ কাপ
গাজর, ফুলকপি, বরবটি – ইচ্ছামতো কাটা
পেঁয়াজ – ১টি কুচি
আদা-রসুন বাটা – ১ চা চামচ
তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ – স্বাদ অনুযায়ী
লবণ, হলুদ, মরিচ – স্বাদমতো
সরিষার তেল – ২ টেবিল চামচ
পানি – ৩ কাপ
প্রণালী:
চাল ও ডাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেজপাতা ও মসলা দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ, আদা-রসুন কষিয়ে সবজি দিন।
চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন।
পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল-ডাল সিদ্ধ হয়।
পরিবেশন করুন মাংশ, দই বা ভর্তার সঙ্গে।
টিপস:
লাল চাল রান্নার আগে ১–২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে দ্রুত সিদ্ধ হয়।
হেলদি ডায়েট মেনে চলতে চাইলে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে লাল চালের খাবার বেছে নিন।
সকাল বা দুপুরের খাবারে লাল চাল উপযুক্ত।
টঙ্গী গ্রোসারী‘র “ লাল চাল আউশ” কেন নিবেন ?
কোনো কৃত্রিম রঙ নয় – একদম প্রাকৃতিক
কৃষক পর্যায় থেকে সরাসরি সংগ্রহ
গ্রামীণ হাস্কিং (বৈদ্যুতিক ঢেঁকিতে) মেশিনে ভাঙানো
লাল চাল — প্রাকৃতিক, খাঁটি ও ঘরোয়া স্বাদের প্রতিচ্ছবি।
স্বাস্থ্যের সাথে কোনো আপস নয় — তাই বেছে নিন টঙ্গী গ্রোসারী“র “আমন লাল “ চাল।